আজকে দক্ষিণপন্থীদের খুবই প্রিয় একটা misquote করা গীতার শ্লোক নিয়ে আলোচনা করবো। আপনারা দিনরাত চিল্লান Academic Field—এ বামপন্থীদের দাপট। সেটা কেনো তার একটি উদাহরণ ও এখানে পাবেন।

ভগবদ্গীতা ১৮ অধ্যায়, শ্লোক ৪১:—
ब्राह्मणक्षत्रियविशां शूद्राणां च परन्तप ।
कर्माणि प्रविभक्तानि स्वभावप्रभवैर्गुणैः ॥

হে পরন্তপ (অর্জুন), ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্রদের কর্মসমূহ তাদের স্বভাবজাত গুণ দ্বারা বিভক্ত হয়েছে।

এই শ্লোকটি দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদীরা প্রায় প্রচার করে যে এখানে ভগবান অর্জুনকে বলছে মানুষের কর্ম ও স্বভাব দ্বারা নাকি তার বর্ণ নির্ধারিত হয় জন্মগতভাবে নয়। কিন্তু দাঁড়ান মজার জিনিষ বলি স্বয়ং রামানুজাচার্য তাঁর গীতা ভাষ্যে এই শ্লোকটির বর্ননা করেছেন এই যে এখানে "কর্ম" বলতে "profession"-এর কথা বলছে না। এখানে আগের জন্মের কর্মের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ সহজজ ভাষায় বললে আগের জন্মের কর্ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট বর্ণে মানুষের জন্মগত স্বভাব নিয়ে জন্ম হয়। 

এবার কেউ লাফিয়ে বলতে পারে এটাতো রামানুজাচার্যের নিজের ব্যাখ্যা হতে পারে। এটা শুধু রামানুজাচার্যের ব্যাখ্যা পারম্পারিক মহান আচার্যদের গীতা, উপনিষদ, ব্রহ্মসুত্রের ব্যখ্যা গুলো একটু ঘাটুন, প্রত্যেকেই জন্মগত বর্ণ ব্যবস্থার সমর্থন করেছেন। 

তাও কেউ তর্ক করতেই পারে যে সবাই বলছে বলেই আমরা মানবো না। এবার আসি তাহলে যুক্তির খেলায়

কর্ম(profession) দিয়ে বর্ণ ব্যবস্থা এগুলো নতুন বিচারধারার প্রচার, এটা কিছু বিশেষ মানুষের স্বভাব বর্তমান সমাজের morality-র দৃষ্টিকোণ দিয়ে সব কিছু দেখা আর সেটা জোর করে ধর্মে FIT করার চেষ্টা। বড় বড় আচার্যদের ব্যখ্যাটাই যে সঠিক তার প্রমাণ দিচ্ছি, আমরা সকলেই জানি গীতা হচ্ছে বেদের সারমর্ম। সুতরাং গীতা বেদ বিরোধী কথা বলবে না। দেখা যা বেদ এই বিষয়ে কি বলছে।

Chandyoga upanishad 5.10.7:-
तद्य इह रमणीयचरणा अभ्याशो ह यत्ते रमणीयां योनिमापद्येरन्ब्राह्मणयोनिं वा क्षत्रिययोनिं वा वैश्ययोनिं वाथ य इह कपूयचरणा अभ्याशो ह यत्ते कपूयां योनिमापद्येरञ्श्वयोनिं वा सूकरयोनिं वा चण्डालयोनिं वा

"তাদের মধ্যে, যারা এই জগতে তারা পূর্ব জীবনে ভালো কাজ করেছিল তারা তদনুসারে ভালো জন্ম পায়। তারা একজন ব্রাহ্মণ, একজন ক্ষত্রিয়, বা একজন বৈশ্য হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু যারা এই জগতে  পূর্ব জীবনে খারাপ কাজ করেছিল তারা তদনুসারে জন্ম পায়,  কুকুর, শূকর, বা একজন চণ্ডাল যোনিতে।"

পড়ে কি বুঝলেন? মনে হচ্ছে না হুবহু রামানুজাচার্য যা ব্যখ্যা দিয়েছে একদম সেটাই। এবার আপনাদের আধুনিক গীতার ব্যখ্যা যদি ঠিক হয় কি করে বেদের এই মন্ত্রের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গীতার শ্লোকটার ব্যখ্যা করবেন? 

এবাদে বর্ণসঙ্কর শব্দটাও গীতার দুই জায়গায় ব্যবহার হয়েছে। শব্দটার মানে Chat Gpt থেকে পারলে দেখে নিন। প্রশ্ন থাকবে যদি কর্মগত বর্ণ ব্যবস্থা হয় তাহলে সেই শব্দটা কেনো ব্যবহার হলো গীতাতে?

তাহলে কর্মের কোনো ভূমিকা নেই? কেনো থাকবে না। তফাৎ হচ্ছে কর্ম করে তাদের বর্ণ নির্ধারণ হয় না। বরঞ্চ তাঁরা সেই বর্ণে জন্মানোর কারণে শাস্ত্র তাদের কিছু কর্ম নির্ধারিত করে দিয়েছে, সেগুলো না করলে তারা পতিত।

এবার বুঝলেন Academia তে আপনাদের সেই জায়গা করতে পারেননি সেরকমভাবে? আপনারা নিজেরাই serious না একদম 





Comments

Popular posts from this blog

Full analysis of child marriage and Pedophilia in Hinduism.

Mahabharat historicity

Do u believe in Rebirth ?