এক অসমাপ্ত যুদ্ধ
কোনো সমস্যার মূল কারণ খুঁজতে গোঁড়াতে যাওয়া প্রয়জন। ভারত ভেঙে পাকিস্তান, বাংলাদেশ তৈরী হলো, তাও শত্রুতা বজায় আছে। কাশ্মীর অশান্তি সব কিছুর একদম গোড়াতে যেতে হবে। ভারত যে ইসলামিক রাস্ত্রে পরিনত হবে এই বিচার স্বয়ং তাঁদের ধর্ম সনথাপক হয়রত মহম্মদ নিজে সেই ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন সুতরাং সেটাকেই পূরণ করতে তাদের যুদ্ধ আজও অক্ষত রয়েছে ইতিহাস থেকে। Ghazwa-e-Hind (غزوہ ہند) অর্থাৎ "হিন্দুস্তানের যুদ্ধ" বা "ভারতের জিহাদ", একটি ইসলামিক পরিভাষা যা কিছু হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে। এর অর্থ হলো হিন্দ (ভারতীয় উপমহাদেশ) অঞ্চলের বিরুদ্ধে এক ভবিষ্যদ্বাণীকৃত যুদ্ধ বা অভিযান, যেখানে মুসলিম বাহিনী বিজয় অর্জন করবে।
বিশ্বাস হচ্ছে না? আসুন প্রমাণ দিই তাদের ধর্ম গন্থ থেকে English আর বাংলা অনুবাদ:-
এই হাদিস তায় বিশেষ লক্ষ্য করবেন আমি বিশেষভাবে এই হাদীসটির কথাই বলেছি, কারণ এটি একটি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ (সহীহ) হাদীস। যার গ্ৰেড হচ্ছে হাসান।
হাদীসের সত্যতা:-
প্রশ্ন আচ্ছা এই ভবিষ্যদ্বাণী কি ইতিহাসে ঘটে যাওয়া ইসলামী শাসনে সমাপ্ত? নাকি এখনও এই ভবিষ্যদ্বাণী হওয়া বাকি?
দুই রকম মতামত নীচে রাখা হলো। এবং সেখানে স্পষ্ট বুঝতে পারবেন এখনো এই ভবিষ্যদ্বাণী সফল হয়নি হওয়া বাকি এই ব্যখ্যা বেশি সঠিক:-
গজওয়া-এ-হিন্দ আখিরুজ্জামানের(কায়ামাতের দিন )ঘটনাসমূহের সঙ্গে সম্পর্কিত, বিশেষ করে ঈসা ইবনে মরিয়ম (যিশু খ্রিস্টের)-এর আগমনোত্তর সময়ে। যেহেতু তাঁর প্রত্যাবর্তন এখনো ঘটেনি, তাই এটি স্পষ্ট যে এই ঘটনা এখনো পূর্ণরূপে সংঘটিত হয়নি। কারণ ইসলামের বিশ্বাস অনুযায়ী যিশু খ্রিস্ট কেয়ামতের দিনের আগে ফিরে সবাইকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করাবে।
একই স্পষ্ট ব্যখ্যা করেছে মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ (محمد صالح المنجد) একজন প্রখ্যাত সালাফি আলেম:—
আল-আল্লামা হাম্মুদ আত-তুয়াইযিরি (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন:—
আবু হুরায়রাহ (রহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত যে হাদীসে ভারতের বিজয়ের কথা বলা হয়েছে, যা নাঈম ইবন হাম্মাদ বর্ণনা করেছেন—এটি এখনো পর্যন্ত ঘটেনি, তবে এটি তখন ঘটবে যখন ঈসা ইবন মারইয়াম (আলাইহিস সালাম) আগমন করবেন, যদি ঐ হাদীসটি সহীহ হয়ে থাকে। এবং আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।
তথ্যসূত্র:- ইতাফ আল-জামাআহ** (১/৩৬৬)
Practical Reality:-
AQIS stands for Al-Qaeda in the Indian Subcontinent এটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদা-র একটি আঞ্চলিক শাখা, যা বিশেষভাবে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং মিয়ানমার (আরাকান)-এ সক্রিয় হওয়ার লক্ষ্যে গঠিত হয় তাদের অনুপ্রেরণার উৎস সেই হাদীসের ভবিষ্যদ্বাণী থেকে।
এইরকম অগনিত ঘটনা হচ্ছে ও হয়ে চলেছে, সত্যিকে সত্যির মতো দেখতে শিখুন। শত্রুবোধ বাড়ান। মাথায় রাখবেন কোনো মুসলিম হয়রত মহম্মদের বাণীর বিরুদ্ধে যাবে না, যেখানে স্পষ্ট হয়রত মহম্মদ নিজেই ভারতের বিরুদ্ধে জিহাদের আদেশ দিয়ে গেছেন সেখানে কারোর কোনো কিছু বলার অবকাশ থাকে না।
Comments
Post a Comment