তন্ত্র ও বেদ (in progression)
নিচের ইংরেজি অনুচ্ছেদটির বাংলা অনুবাদ যথাযথভাবে করা হলোঃ
---
**তন্ত্রকে ‘শ্রুতিসাখাবিশেষঃ’ বলা হয়েছে**, অর্থাৎ বেদদের একটি বিশেষ শাখা। এই দাবি কেবল পরবর্তী তন্ত্রগুলোই নয়, প্রাচীন তন্ত্রগুলিও দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
**উপলব্ধ প্রাচীনতম তন্ত্রগুলোর একটি**, *নিশ্বাসতত্ত্ব সংহিতা*, মতে তন্ত্র হল বেদান্ত ও সাংখ্যের গুপ্ত বিদ্যার পরিণতি।
**পুরাতন তান্ত্রিক গ্রন্থ পিঙ্গলমাতা** বলে, “তন্ত্র প্রথমে শিব কর্তৃক প্রচারিত হয়েছিল, এবং তা ঐতিহ্য রূপে প্রচলিত হয়েছে। এটি ছন্দসমন্বিত আগম, যার বৈশিষ্ট্য বেদের মত।”
**কুলার্ণব তন্ত্র (২.১৪০–১৪১)** বলে, *কুলধর্ম বেদের সত্যের ওপর ভিত্তি করে গঠিত এবং তা দ্বারা প্রণোদিত।* একই স্থানে, শিব নিজ মতের পক্ষে *শ্রুতি* থেকে উদ্ধৃতি প্রদান করেন।
**মেরু তন্ত্র** বলে যে, *তন্ত্র বেদেরই একটি অংশ।*
**নিরুত্তর তন্ত্র** তন্ত্রকে *পঞ্চম বেদ* বলে অভিহিত করেছে এবং *কুলাচার*কে *পঞ্চম আশ্রম*, যা পূর্ববর্তী সব আশ্রমকে অনুসরণ করে (প্রণতোষিণী, পৃষ্ঠা ৭০)।
**মৎস্যসূক্ত-মহাতন্ত্র (১৩)** বলে, *শিষ্য হতে হবে অন্তর থেকে পবিত্র ও বেদজ্ঞ।*
যে ব্যক্তি **বৈদিক ক্রিয়া থেকে বঞ্চিত**, সে অযোগ্য (মহারুদ্র যামল, ১.১৫; ২.২; প্রণতোষিণী, পৃষ্ঠা ১০৮)।
**গান্ধর্ব তন্ত্র (প্রণতোষিণী, পৃষ্ঠা ৬)** বলে, *একজন তান্ত্রিক সাধককে বেদে বিশ্বাসী, সর্বদা ব্রহ্মনিষ্ঠ, ব্রহ্মময় এবং ব্রহ্ম-আশ্রিত হতে হবে।*
**কুলার্ণব তন্ত্র (৩.১১৩)** বলে, *বেদের জ্ঞান অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ জ্ঞান আর কিছু নেই এবং কৌল মতের সমতুল্য কোনো দর্শন নেই।*
---
যদি আপনি চান, আমি এই অনুবাদটি PDF বা নোট আকারে তৈরি করে দিতে পারি।
Comments
Post a Comment