রাধা ও কৃষ্ণ (in progress)
১) রাধা ও কৃষ্ণ নামের কিছু অর্থ শাস্ত্র অনুযায়ী:-
২) রাধা সম্পর্কে কৃষ্ণের সম্পর্কে মামী ছিলেন?
৩) রাধা ও কৃষ্ণের অমর প্রেম সম্পর্কে অল্প দৃষ্টিপাত
৪) রাধা ও কৃষ্ণের বিচ্ছেদের কারণ
এই প্রসঙ্গের উওর আমরা ব্রহ্মবৈবরত পুরাণে দেখতে পাই।
সেখানে স্পষ্ট বলা যে রাধা গোকুলে তার জন্ম বৃষভানু ও কলাবতীর পুত্রী রূপে। বলা হয়েছে তার ১২ বছর বয়সে রায়ণ নামক এক বৈশ্য ঘরের ছেলের সাথে তার বিবাহ হয়। যদিও বর্ননা অনুযায়ী আসল রাধা গুপ্ত থাকে আর রায়ণের সাথে যার বিবাহ হয় সেটা বাস্তবে ছায়া রাধা। আরও আমরা যা বর্ননা পাই রায়ণ হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পালিত মাতা যশোদার ভাই। সুতরাং সেই হিসেবে দেখলে রায়ণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পাতানো মামা হচ্ছে। তবে মজার বিষয় হলো শাস্ত্রীয় বর্ননা অনুযায়ী এই রায়াণ আর কেউ নয় স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অংশ যার বাস্তবিক বাসস্থান শ্রীকৃষ্ণের নিত্যধাম "গোলোক"। পৃথিবীতে সে রায়াণ রূপে অবতীর্ণ হয়েছেন, ঠিক যেমন গোলোক, বৈকুণ্ঠের অধিপতি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে দেবকী ও বাসুদেবের পুত্র রূপে অবতীর্ণ হয়েছেন।
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী ভগবান যখন অবতীর্ণ হন তার সাথে তার নিত্য সেবক ও পারষদগন ও অবতীর্ণ হন সেই লীলায় অংশ গ্ৰহন করার জন্য। যেমন শাস্ত্র অনুযায়ী রাধা কোনো আলাদা চরিত্র নয় বরঞ্চ তিনি ভগবানের হ্লাদিনী শক্তি(ভগবানের আনন্দদায়িনী শক্তি) যা রাধা রূপে ভূ-লোকে আবির্ভাব হয়েছে।
শ্রীচৈতন্য-চরিতামৃত আদি-লীলা 4.71 এ বলা :-
"তার মন, ইন্দ্রিয় এবং শরীর কৃষ্ণের প্রেমে নিমজ্জিত। তিনি কৃষ্ণের নিজস্ব শক্তি, এবং তিনি তাঁকে তাঁর লীলা তে সাহায্য করেন।"
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দুটি রূপ ধারণ করেন একটি চারহাত সম্পন্ন ও আরেকটি দুই হাত। চার হাত সম্পন্ন রূপ হচ্ছে ভগবান বিষ্ণু যিনি বৈকুণ্ঠে বিরাজ করেন মহালক্ষ্মীর সাথে। আর ভগবানের দুই হাত সম্পন্ন রূপ হচ্ছে গোলোক নিবাসী শ্রীকৃষ্ণ যিনি রাধার সাথে সেই নিত্য ধামে বিরাজ করেন।
আচ্ছা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন রাধারাণীকেই ভালোবাসতেন তবে তাকে বিবাহ করলেন না কেনো?
এর উত্তর হচ্ছে আমরা সকলেই দেখলাম যে রাধা শ্রীকৃষ্ণের হলাদিনী শক্তি তিনি তার সাথে নিত্য গোলাকধামে সবসময় বিরাজমান। তবে পৃথিবীতে তাদের মিলন সম্ভব হয়নি তার কারণ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হবার বহু পূর্বে গোলোকধামে রাধা আর শ্রীদমার(ভগবানের নিত্য সেবক) সাথে ঝগড়া হয়।
যার পরিনামে উভয়েই একে ওপরেকে অভিশাপ দেয়। শ্রীদমা অভিশাপ দেয় রাধাকে যে সে মানুষ রূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হবে আর স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সাথে কিছু বছর সেখানে কাটানোর পর তাদের ১০০ বছরের জন্য বিচ্ছেদ হবে। তারপর শ্রীকৃষ্ণের সাথে আবার মিলন হয়ে তারা তাদের নিত্য গোলোকধামে ফিরে যাবেন। এই কাহিনীর প্রমাণ ব্রহ্মবৈবরত পুরাণে বর্ণিত:-
BVP - 4.3.103]:-
You are getting angry like a human, hence you'll become a human. Mother! you'll become a human without any doubt due to my curse.
BVP - 4.3.105,106]:-
In Gokula getting the company of Krishna you will enjoy pastimes in the forest. Then you'll experience a separation of hundred years from Hari. After that you'll again get His company and return to Go-loka.
সুতরাং এটা স্পষ্ট রাধা শ্রীকৃষ্ণের নিত্য সঙ্গী হওয়া সত্ত্বেও তাদের সামাজিক ভাবে মিলন হতে পারেনি তবে আধ্যাতমিক ভাবে তাদের বিবাহ বৃন্দাবনে হয়েছিল আর সেই বিবাহের পুরোহিত স্বয়ং ভগবান ব্রহ্মা ছিলেন। এর প্রমাণ:-
BVP - 4.115.88
Lord Krishna enjoyed pastimes in Vrindavan only with those of His wives who were residents of Go-loka. Brahmā himself as the priest wedded Radha to Him.
Comments
Post a Comment